ঘূর্ণিঝড় যশের মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য
ব্যুরো রিপোর্ট : পূর্বাভাস মতোই শনিবার তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে এটা দুর্যোগের প্রথম ধাপ। দুর্যোগ চলবে ২৬ তারিখ পর্যন্ত। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সহ অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আজ পূর্বাভাস মতোই তৈরী হয়েছে নিম্নচাপ। ২৪ তারিখ তা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। তারপর সেটি ক্রমে এগিয়ে যাবে বাংলা ওডিশা উপকূলের দিকে।
২৫ তারিখ সন্ধ্যা থেকে কখনও হালকা থেকে মাঝারি কখনও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে উপকূলীয় জেলা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। সময় অন্তর বাড়বে বৃষ্টির পরিমান। ২৫ তারিখ ওই অঞ্চলে হাওয়ার গতি থাকবে সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার। ২৬ তারিখ দুপুর পর্যন্ত ক্রমশ বাড়তে থাকবে হাওয়ার গতিবেগ। ২৬ তারিখ সাত সকালেই বাংলায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় যশ।
২৫ তারিখ রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলে বইতে পারে সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া।আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, ২২মে একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে উত্তর আন্দামান সাগরের উপর। তারপরের ৭২ ঘন্টায় এটি সাইক্লোনে পরিণত হবে। তারপর সেটি ধীরে ধীরে এগোবে উত্তর পশ্চিম দিকে। এরপর ২৬ মে সেটি পৌঁছাবে পশ্চিমবঙ্গ ওডিশা উপকূলে। এখানে পৌঁছাতে মোটামুটি সন্ধ্যা হয়ে যাবে।
২৫ তারিখ থেকে প্রচুর বৃষ্টি শুরু হবে স্বাভাবিক ভাবেই। যত সময় এগোবে সাইক্লোনের শক্তি মাফিক বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণও। বলা হচ্ছে ওডিশা, পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে ২৪ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত এই ঝড়ো হাওয়ার দাপট দেখা যাবে ও বাংলাদেশ উপকূলীয় অঞ্চলেও।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে মাঝি ও মৎস্যজীবীদের ২২ তারিখ থেকে টানা ২৭ তারিখ পর্যন্ত সমুদ্রে বা গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। রাজ্যেই উপকূলবর্তী জেলাগুলিকে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এই সাইক্লোন নিয়ে উপকূলবর্তী জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। এই বৈঠকে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী ফেসবুক পোস্ট করেন। তিনি জেলাগুলিকে সতর্ক করেন। শুকনো খাদ্য মজুত রাখার নির্দেশ দেন। মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া থেকে ত্রাণ এর বিষয়ে উল্লেখ করেন।
মূলত আমফান -এর আগে রাজ্য প্রস্তুতি ও সতর্কতা নিয়েছিল বলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছিল। তাই “যশ” থেকেও যাতে মানুষের বেশি ক্ষয়ক্ষতি না হয়, তার জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে সবরকম ভাবে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা বলছেন যেহেতু বর্ষা আসার ঠিক আগেই হবে এই ঘূর্ণিঝড় তাই এর ধাক্কা লেগে আরও একটু এগিয়ে আসতে পারে বর্ষা। হাওয়াঅফিস সূত্র জানিয়েছে এমনিতেই বর্ষা সামান্য আগেই আসতে চলেছে এবার।
নিয়মিত খবরের আপডেটস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন
Comments
Post a Comment