প্রার্থনা করলে ভক্তের সকল মনস্কামনা পূর্ণ করেন মা। উত্তর ২৪ পরগনার জাগ্রত দেবী মা মহিষমর্দিনী।
প্রার্থনা করলে ভক্তের সকল মনস্কামনা পূর্ণ করেন মা, উত্তর ২৪ পরগনার জাগ্রত মা মহিষমর্দিনী।
নিজস্ব প্রতিবেদন, বনগাঁ : বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যের অন্যতম স্বাক্ষর উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর গোবরাপুরের মা মহীষমর্দিনী। বঙ্গের অন্যান্য শক্তিপিঠের পাশাপাশি এখানে মা মহিষমর্দিনী ভীষণ জাগ্রত। মন ভরে মায়ের কাছে প্রার্থনা করলে, মা ভক্তকে নিরাশ করেন না। মায়ের আশীর্বাদে ভক্তের সকল মনস্কামনা পূর্ণ হয়।
চলতি বর্ষের মাঘী পূর্ণিমায় মন্দিরের ৭৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১৫ দিন ব্যাপী মহোৎসব যথচিত মর্যাদার সহিত পালিত হল।
সৃষ্টিকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে নানান দেব-দেবীর মাহাত্য ও উপকথা ঐতিহ্যের সাক্ষী বহন করে আসছে। দেবী দশভূজা ও বাসন্তীর বঙ্গে আরও এক মহিষমর্দিনী দুর্গার ইতিহাস বহন করছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁর গোবরাপুর জনপদ। জানা যায়, স্বাধীনতার পূর্বে আধুনা বাংলাদেশের সুন্দরবন মৌজার অধীনস্থ ছিল এই গাড়াপোতা অঞ্চল। সেযুগে কোনো এক তপস্বী পঞ্চমুন্ডির আসনে এই স্থানেই দেবী চন্ডীর সাধনা করতেন। কালের বিবর্তনে অতীতের সেই ধারাতেই এই স্থানটি মাতৃ সাধনার এক অন্যতম পুণ্যভূমির রূপ নেয়। যুগ যুগ ধরে মা সিংহবাহিনী এখানে মহিষমর্দিনী রূপে পূজিতা হন।
২০১৬ সালে গঠিত হয় মন্দিরের প্রথম ট্রাস্টি বোর্ড। এরপর, ২০১৮ থেকে স্থানীয় মানুষের ইচ্ছে অনুযায়ী সুদীর্ঘ চূড়া বিশিষ্ট মন্দিরের স্থাপনা কার্য শুরু করা হয়। কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অসমের মা কামাখ্যা মন্দিরের অনুকরণে বঙ্গে প্রথম নির্মিত হচ্ছে এই মন্দির।
মূল মন্দিরের নিচে গুপ্ত অঙ্গন অবস্থিত। সেখানে মা মহিষমর্দিনী সহ সত্য, দ্বাপর, ত্রেতা ও কলি যুগের নানান দেবদেবীর মূর্তি নির্মিত হবে। যা ভক্তদের ঈশ্বর দর্শনের এক অভূতপূর্ব আকর্ষণের বিষয় হবে।
প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বহন করছে গোবরা পুরের মহিষমর্দিনী মন্দির। মন্দির নির্মাণ কার্যের জন্য ভক্তরা উদার হস্তে দান ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেও, নির্মাণ কার্য সম্পন্ন করতে এখনো প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তাই অসম্পূর্ণ কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্যে মন্দির কতৃপক্ষ আজকের সংবাদ এর মাধ্যমে সকল শুভানুধ্যায়ী ভক্তদের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানালেন।
Comments
Post a Comment